Header Image

ভালুকায় বিট কর্মকর্তার রোষানলের শিকার সাড়ে ৬ হাজার গাছের চারা।

স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহের ভালুকায় হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলীর বিরুদ্বে ঘুষের ৫ লাখ টাকা না পেয়ে স্পাইডার এগ্রোর সাড়ে ৬ হাজার গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলার ঝালপাজা মৌজার ২০৮ নং দাগে।
জানা যায়, ঢাকার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রিয়াজ ও রিপন মিয়া ঝালপাজা মৌজায় ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রেতা ২০৭ ও ২০৮ নং দাগে ৮ জন বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমির মালিকদের কাছ থেকে ১০.৬৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর মালিকপক্ষ জানতে পারেন ২০৭ ও ২০৮ নং দাগ দুটি বন বিজ্ঞপ্তিভুক্ত। সেই প্রেক্ষিতে জমি ক্রেতারা ফরেষ্ট সেটেলম্যান্ট অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর দুটি মিস মোকদ্দমা নং ৬/১৫ ও ৩২/২০১৮ইং দায়ের করেন। ফরেষ্ট সেটেলম্যান্ট অফিসার রেজাউল করিম রিয়াজ গংদের পক্ষে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্বে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব)’র আদালতে বনবিভাগ আপিল করে। পরে গত ৫ অক্টোবর ওই আদালত ২০৭ ও ২০৮ নং দাগে রেজাউল করিম রিয়াজ গংদের পক্ষে ৯.৯৮ একর জমি অবমুক্ত করে রায় দেয়।
গত ৪ মাস পূর্বে জমির মালিকগন ওই জমিতে মালটা, কমলা ও লেবুর চারা রোপন করে স্পাইডার এগ্রো প্রজেক্ট শুরু করেন। ঠিক ওই সময় হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী তার লোকজন নিয়ে চারা রোপন কাজে বাধা প্রধান করে। পরে কোম্পানির প্রতিনিধি রাসেলের কাছে বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। রাসেল মিয়া দেওয়ান আলীকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন এবং বাকী ৫ লাখ টাকা ৪/৫ মাস পর দিবার প্রতিশ্রতি দেন।
গত ২০ অক্টোবর বন আদালত থেকে জমির মালিকদের পক্ষে রায়ের কপি মালিকদের কাছে এসে পৌছে। কয়েকদিন যাবৎ দেওয়ান আলী বাকী ৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে মালিকগন আদালতের রায়ের কপি পাওয়ায় দেওয়ান আলী কে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বুধবার দুপুরে হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী এবং মল্লিকবাড়ি বিট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অস্ত্র সহ কর্মচারি ও ভারাটিয়া লোক নিয়ে বাগানের সাড়ে ৬ হাজার চারা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় হতভম্ভ মালিকগন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেন।
রাসেল মিয়া বলেন, আদালত কতৃক আমাদের পক্ষে রায় থাকার পরও বিট অফিসার দেওয়ান আলীকে বাকী ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে দলবল নিয়ে এসে আমাদের সাড়ে ৬ হাজার চারা কুপিয়ে কেটে ফেলে দেয়। এতে আমাদের ৩৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমরা এর ক্ষতিপুরন দাবি করছি।
বিট অফিসার দেওয়ান আলী বলেন, আমরা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর মিস কেইস দুটি আপিল করেছি। দাগ দুটি বনের গেজেট ভুক্ত সেই জমি আমরা উদ্ধার করেছি। ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেবার ব্যপারে তিনি অস্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!