আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ।।
মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাও ইউনিয়নে খালিয়া বিলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর বিধান লঙ্ঘন এর অপরাধে সেলিম মিয়া (দলিল লেখক) কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মাটি কাটার ভেকু জব্দ করা হয়েছে।
২৫শে এপ্রিল রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তাগাছার সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান- মুক্তাগাছার উপজেলার দাওগাও ইউনিয়নের খালিয়া বিলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি সরকারি ভাবে খনন করা হয়েছিল এবং খালের দুপাশে মাটি ফেলে খালটিকে শক্ত অবস্থান দেয়া হয়। কিন্তু কিছু অবৈধ দখলদার ও পেশাদার আইন অমান্যকারীরা বিপননের উদ্দেশ্য তলদেশের এ মাটি রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে কেটে ৫/৬ টি ট্রাকে করে তা ইটের ভাটাসহ অন্যান্য স্থানে বিক্রি করেন। বিশাল আয়তনের এ মাটি বিক্রয় করেন তারা। যার আনুমানিক মূল্য হবে ১৫-২০ লাখ টাকা। এ খালটি কাশিমপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। তারা খালে বাঁধ দেন।ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় ১ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন। ১ টি ভ্যাকু জব্দ করা হয়। আসামী স্বীকার করেন যে এখান থেকে তারা বিপুল পরিমান মাটি সরিয়েছেন। ইটের ভাটায় দিয়েছেন। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইনের০৪ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জেল পরোয়ানা মূলে আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান কে সহায়তা করায় তিনি মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ও অন্যান্য সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।