বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন সুতাবাদী পাড়া মসজিদ ও সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সর্দার শফিউল আলমের ছেলে মো. আবিরের বিরুদ্ধে (মঙ্গলবার ০৮জুন২১ইং) অ্যান্ড্রয়েড ফোন চুরির অভিযোগ উঠেছে । মোহাম্মদ আবির ফাইতং ৫নং খেদারবান পাড়া থেকে আমিরাবাদ ফকিরহাট বাজার একটি বিল্ডিং রাজমিস্ত্রী কাজে যায়। সবার বাড়ি একি এলাকায়, ১নং নাঈমুন ইসলাম (১৮) পিতা- বেলাল উদ্দিন, ২নং মোহাম্মদ আবির (২০) পিতা শফিউল আলম ৩নং সরোয়ার উদ্দিন (২০) পিতা- জাহাঙ্গীর সিকদার ৪নং আনছান উদ্দিন (২২) পিতা- ইব্রাহিম বৈদ্য সহ ৫/৬জন।
নাঈমুনে ১মাস শেষে দিকে কাজে টাকা জমা করে সপ্নের অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনবে সেই সুযোগ আমিরাবাদ স্থানীয় এরফান আপেল দোকান দার থেকে REDMI Y3 ফোন টি পছন্দ করে, ৯ হাজার টাকা দিয়ে কিনেন তখন আবির, তারেক, এরফন সাথে ছিলেন। এবং টাকা কম থাকায় আবির থেকে ১হাজার ৫শত টাকা নাঈম দার নেন। ফোন কিনার ৯দিন পরে মোবাইল চুরি করে কে বা কারা।
নাঈমুন ইসলাম বলেন, আমি কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতো রাতে মোবাইল টি বালুচ নিচে রেখে ঘুমায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল টি পায় না অনেক খোজাখুজি করি, সাথে যারা ছিলেন তাদেরকে বলি ভাই বন্ধু আমার সপ্ন ছিল কাজে টাকা জমা করে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনেছি তোমরা কেউ নিয়ে থাকলে মোবাইল টি দিয়ে দাও,আমি খুশি করে তোমাদের ৩হাজার টাকা দিবো, কেউ আমার কথা শুনে নাই। মোবাইল চুরি হওয়ার ৩দিন আমাদের সাথে ছিল। আবির, তারেক, ৪দিনের দিন কাজ শেষে মালিক কে তারা কাজ করবে না বলে কাজের টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি আরো বলেন, আমি মোবাইল কথা মাথায় থেকে পেলে দিয়ে, কাজ করতেছি তখন ছিল রমজান মাস ঈদে আগে রোজা ২৮টি মধ্যে বাড়িতে চলে আসি তখন এলাকায় বন্ধুদের কে চুরি হওয়া ফোনটি কথা শিয়ার করি তারা বলে কি ফোন REDMI Y3।
তখন নাঈমে বন্ধু বাবু বলেন, আবির থেকে তো এই নামে একটি ফোন দেখেছি সর্দার ছেলে আবির হাতে, ঐ মোবাইলে ছবি তুলে তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে সে ছবি তে ফোনের নাম মডেল দেখছি। তখন বন্ধুরা সবাই মিলে খোজাখুজি করে তার হাতে ফোন টি পাওয়া যায়। চুরি করার সময় যারা দেখেছে কাওকে না বলার জন্য। এরফান নামে একছেলে কে ১হাজার টাকা তারেক কে ১হাজার ৫শত টাকা দেয়। বাবু বিষয় টি জানতে পারলে দোকানে নাস্তা করায় ঐ ফোন চুরি কথা বললে তারা জানান, মাঝরাতে ফোনটি চুরি করেন মোহাম্মদ আবির যেখানে থাকি ওখান থেকে রাজমিস্ত্রী কাজ করে সেখানে গিয়ে মাঠি গর্ত করে রাখেন,এবং লোকেশন কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে টাকা খরচ করান নাঈমকে।
কয়জন বন্ধু মিলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন চুরি বিষয় টি আবির কে বললে তিনি বলেন আমার বাবা সর্দার সম্মান আছে এবার মেম্বার নির্বাচন করবে কাওকে বলিস না, আমি তুকে ৪হাজারা টাকা দিবো কয়েক দিনের মধ্যে নাঈম বলে আচ্ছা ঠিক আছে। তাইলে দাও, এভাবে চলে যায় ১৫থেকে ২০দিন পরে আমি একা গিয়ে যখন টাকা চাই কিসের টাকা বলে হুমকি দেয়।
তখন আবির বাড়িতে গিয়ে বাবা শরিউল আলম কে ফোন চুরি কথা বললে তিনি বলেন , আমার ছেলে কে কি অভাবে রাখছি তোমার অ্যান্ড্রয়েড ফোন চুরি করবে, আমি কে ছিন এই সামাজে নির্বাচিত সর্দার আবার আমার সামনে এসে ফোন চুরি কথা বললে ছেলেকে বলবো তুকে মাইর দিতে যাও এখন চলে যাও আমার বাড়ি থেকে।
তথ্য লেখা পর্যন্ত এই বিষয় অভিযুক্ত আবির ও তার বাবা সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করতে চাইলে ওনারা মোবাইল রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, মোবাইল চুরি এই বিষয়ে কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।