Header Image

ময়মনসিংহে বাকৃবি শিক্ষক মিঠুর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিতে বহুতল ভবন নিমার্ণের অভিযোগ।

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় চর
জেলখানা মৌজায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অধিক গ্রহনকৃত সমপত্তিতে এবং স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুল হক(৭০) এর অর্ধশত বছরের দখলকৃত খরিদা সম্পত্তিতে প্রভাব খাটিয়ে জোর পুর্বক বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়য়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আজমল
হুদা মিঠুর বিরোদ্ধে।

এতে যেকোন সময় হানাহানি ও
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। অপরদিকে স্থিতি বাজায় রাখার জন্য কোতোয়ালী মডেল
থানার পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। তার কোনটাই মানছেনা আজমল হুদা মিঠু। ভাড়াটিয়া মাস্তান ভাড়া করে সে মাঝরাকৃত ভূমিতে নিজে ও তার বাবাকে উপস্থিত রেখে পাকা পিলার ও দেয়াল নির্মান করে চলেছে।

অভিযোগে আরো জানা গেছে, আজমল হুদা মিঠু ঢোলাদিয়া মৌজায় সরকারের ১ নং দাগ থেকে ১১ নং দাগের সরকারি জমিতে বহুতল ভবন বানিয়েছেন।নদী সংলগ্ন সরকারি জমিতে বহুতল ভবন বানিয়ে জনচলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এতে জনমনে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। অজ্ঞাত কারনে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা কোন ব্যস্থাই নিচ্ছেন না।
আজমল হুদা মিঠু কিছু ভূয়া কাজপত্র বানিয়ে (যা সরকারের রেকর্ড পত্রে উল্লেখ নেই) জেলখানার চর মৌজায় সরকারের অধিক গ্রহন জমিসহ ব্যক্তি মালিকানা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুল হক(৭০) ও কমপক্ষে অসহায় ভূমিহীন ৩০
পরিবারের জমি জব্বর দখলের চেস্টা চালিয়ে মারমুখো পরিস্থিতির সৃস্টি করেছে।

যে কোন সময় যেকোন সময় এখানে সংঘর্ষ বেধেঁ আইনশৃংলার চরম অবনতি ঘটতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুল হকের পিৈত্রিক খরিদা ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমি ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে ভোগদখল করা জমিও মিঠু দখলের অপচেস্টা করছেন। যার দাগ নং বি.আর.এস ৩০০৮,৩০১২ ও আরওআর ২৫৩৭। জমির পরিমান ১৯৬ শতাংশ।
ময়মনসিংহের ভূমি অধিক গ্রহনের আওতায় থাকা জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা, দখলবাজী ও কোনরূপ কাজ থেকে বিরত থাকা জেলা প্রশাসন গন হারে নোটিশপ্রদান করার পরও ময়মনসিংহের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আজমল হুদা
মিঠু চর জেলখানা মৌজায় অন্যের জমি সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে পাকা দালান ও
পিলার নির্মান করে সীমানা নির্ধারন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ অতিঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬৮৯/২১ মামলা হয়েছে।
এটি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সদর তদন্ত করছেন। আর স্থিতি বজায় রাখার জন্য কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে শহীদুল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডি করেছেন। এছাড়াও তার নামে আরো একাধিক জিডি করেছেন ভোক্ত ভোগীরা। ময়মনসিংহ ভূমি অধিক গ্রহন অফিসের অদেশ অমান্য করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  ময়মনসিংহের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আজমল হুদা
মিঠু সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভাড়া করে সন্ত্রাসীদের উপস্থিত রেখে চর জেলখানা মৌজায় অসহায়, হতদরিদ্র অন্তত ৩০ টি পরিবারের লীজ নেয়া দখলে থাকা ও সাফ কাবলা দলিল মূলে কেনা মালিকাধীনের জমি জব্বর দখল করে নিয়েছে। তার দখলে নেয়া কিছু
জমিতে সীমানা দেয়াল ও ঢালাই করা খুটি পুতে কাটা তারের ভেড়া দেয়ার অপচেস্টা
চালিয়ে যাচ্ছে। জমি দখলে নেয়ার চেষ্টাকৃত অধিকাংশ জমির সীমানায় ঢালাই
পিলারের কাজ করে চলছে।

 

প্রফেসরের জব্বর দখলীয় জমি, বিভিন্ন লোকের সরকারী ভাবে লীজ নেয়া আবার কারোটা অর্ধশত বছর আগে ব্যক্তি মালিকদের কাছ থেকে
সাফ কাওলা মূলে কেনা। সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে ভূমি জব্বর দখলকারী কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আজমল হুদার বিরুদ্ধে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর অনেক
কর্মচারী বহু অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে জয়নাল আবেদীন (আর্ট) সংগ্রহশালার বিভিন্ন ব্যক্তি অভিযোগ ধরে তুলেন। এ সকল অভিযোগের মধ্যে কু-প্রস্তাব ও অর্থ আদায় বা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তার ৩ বিয়ের
কথাও প্রকাশ পেয়েছে।

 

ময়মনসিংহ সদরের জেলখনাা চর মৌজায় গিয়ে অসহায় মানুষের অভিযোগ শুনে
আবেগ-আপপ্লত না হয়ে উপায় নেই। মানুষের অর্ধশত বছর ধরে দখল করে থাকা লীজ
নেয়া সরকারী জমি ও ব্যক্তি মালিকানা সাফ কাওলা মূলে কেনা জমি নিজে উপস্থিত
থেকে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভাড়া করা সন্ত্রাসী উপস্থিত রেখে জমি দখলে নেয়ার
চেষ্টা চালাচ্ছেন। এলাকাবাসী তাকে ভুমি দস্যু বলে আখ্যায়িত করেছেন। জেলখানা চর মৌজার আরওআর দাগ ৩০৩৫,২০৩৫,৩০২৯,৩০৩০,৩০৩২, ৩০৩১, ৩০২১,৩০২২,৩০২৮,৩০২৪, ৩০২৫,২৫৩৪,২৫৩৭ও ২৫৩৬ দাগের জমি কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আজমল হুদা মিঠু দখলের চেষ্টায় ঢালাই খুটি বসিয়েছে।

 

কোন
কোন সীমানায় খুটি বসিয়ে কাটা তারের বেড়া দেয়ার চেষ্টায় রয়েছে। কোনরূপসত্য ছাড়াই এসকল দাগে প্রফেসর আজমল হুদা মিঠু ২ একরের অধিক জমি দখলের চেষ্টায় রয়েছেন। সম্প্রতি ময়মনসিংহ ভূমি হুকুম দখল অফিস থেকে নোটিশে
বলা হয়েছে সরকারী সম্পত্তিতে কোন স্থাপনা করা যাবে না। প্রফেসর আজমল হুদা
মিঠু তা অমান্য করে চলেছেন। স্থানীয় জালাল উদ্দীন, ধীরেন্দ্র চন্দ্র, আনোয়ার
জানান, তাদের অর্ধশত বছরের দখলীয় জমি কোন কাগজপত্র বা সত্য ছাড়াই প্রফেসর
আজমল হুদা মিঠু দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসকল জমি সরকারে অধিক গ্রহনের
আওতায় পড়েছে।

 

এর মধ্যে আংশিক পড়েনি। এর আগে তার ভগ্নিপতি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার নামে বৃদ্ধাশ্রম বানানোর কথা বলে এলাকার নিরীহ মানুষের দখলে থাকা কয়েক একর সরকারী জমি দখল করে নিয়েছেন। অপর দিকে মিঠু সরকারী
জমিতে বহুতল বাড়ি বানাচ্ছেন। যার প্লান সিটি কর্পোরেশন থেকে পাশ করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!