Header Image

স্ত্রীর মামলায় জেল খেটে দাপটে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব এটেনডেন্ট সাদ্দাম

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

 

প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় জেল খেটেও দাপটে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব এটেনডেন্ট মো.সাদ্দাম হোসেন। পর নারীতে আসক্ত প্রতারক সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহনা তাসনিম। জেলে থাকার পরেও সাদ্দাম সাময়িক বহিষ্কার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাদ্দামের প্রথম স্ত্রী ভুক্তভোগী শাহনা তাসনিম বলেন,২০১২ সালের ১৮ মে মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তরের আবুল হেলিম খানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন তাকে প্রতারনায় প্রলুব্ধ করে বিয়ে করে। বিয়ের পরেও অন্য নারীতে আসক্ত ছিল সে। গেল বছরের ৫ আগস্ট তাকে না জানিয়ে নেত্রকোণার দরুনবালী গ্রামের মো. হাবুল মিয়ার মেয়ে মোছা. তনু আক্তারকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন মূলে বিয়ে করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সাদ্দাম আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে।

পরে বাধ্য হয়ে নেত্রকোণা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। সে মামলায় সাদ্দাম ৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হলে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক ইফতেখার বিন আজিজ। মামলায় ১৪ দিন জেল কেটে জামিন পেয়ে নানা হুমকী অব্যাহত রেখেছে সে। জেলে থাকার সময় সাদ্দাম আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিল। তখন অন্য লোক মারফতে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বরাবরে ছুটির আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়নি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ১৪ দিন জেল থাকার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, যা হয়েছে তো হয়েছেই এখন সংবাদ প্রকাশ করে লাভ কি? আমার যা হওয়ার তাই হবে।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই কারিমুল বাশার বলেন, সাদ্দাম একটা প্রতারক। সে বরান্তরের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কাদির খানের আপন ভাতিজা পরিচয় দিয়ে আমার বোনকে বিয়ে করে। এমন প্রতারনা যাতে অন্য কারো সাথে না করতে পারে সেজন্য তার শাস্তি হওয়া দরকার।

আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফ আহম্মেদ বলেন, মোহনগঞ্জ হাসপাতালের ল্যাব এটেনডেন্ট মো. সাদ্দাম হোসেন খান গত ২৮ এপ্রিল বদলি হয়ে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আট মাসের মতো থেকে পুনরায় মোহণগঞ্জ চলে গেছে। সাদ্দামের বিষয়ে ৬/৭ জন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি আর কথা বলতে চাই না। সাদ্দামের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর মোহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, সাদ্দাম জেল খাটার বিষয়ে আমি অবহিত নই। তবে সে বেয়াদব, তাকে সাইজ করতে হলে সিভিল সার্জনকে জানান।

নেত্রকোণা জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া জানান, এ বিষয়টি আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে সাদ্দামের বিরুদ্ধে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!