Header Image

মুক্তাগাছায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায়  যুবলীগ সভাপতি  মনি গ্রেপ্তার 

সাইফুল ইসলাম তরফদারঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুনকে মারধরের ঘটনায় সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মাহবুবুল হক মনি মুক্তাগাছা উপজেলা যু্বলীগের সভাপতি ও মুক্তাগাছা পৌরসভাপর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের মেয়ের জামাতা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে মাহবুবুল হক মনিকে আসামী করে  ডা. এ এইচ এম সালেকিন বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 ওসি বলেন, মারধরের শিকার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন ইমারজেন্সী মেডিকেল কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায় দুপুর ১ টা বেজে ৫৫ মিনিটে হাসপাতালের ইমারজেন্সী হটলাইন নাম্বারে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি পরিচয়ে তার ৭০ বছর বয়সী মায়ের করোনা পরীক্ষা বাসায় গিয়ে স্যাম্পল নেয়ার ব্যাপারে জানতে চান। তখন ডা. সালেকিন জানায়, যে বাসায় গিয়ে স্যাম্পল নেয়া আপতত বন্ধ ও তাকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে স্যাম্পল দেয়ার পরামর্শ দিলে সে ফোন কেটে দেয়।
এর কিছুক্ষন পর আনুমানিক ২টা ৫ মিনিটে সরাসরি সে ও তার দলবল সহ আনুমানিক ৮-১০ জন মিলে আমাদের ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসারের রুমে ঢুকে রুমের দরজা বন্ধ করে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে এবং তার মুখের মাস্ক খুলে নেয়ার জন্য বারবার ধমক দিতে থাকে। হঠাৎ তার আশপাশের ৮-১০ জন মিলে চিকিৎসককে এলোপাতাড়ি চর থাপ্পর ও ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় হাসপাতালের স্টাফ মিলে তাদের বিবত করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারধর করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।এদিকে চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি তুলে নেয় সে জন্য তাদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!