Header Image

ত্রিশাল ধলা সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে লোকবল সংকট

খায়রুল আলম রফিক :

 

ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধলা সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী শিশুদের দুর্ভোগ নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে বিডি২৪লাইভ.কমসহ কয়েকটি গণমাধ্যম । এই আশ্রয় কেন্দ্রে শিশু ও পুুরুষসহ ২৮১ জনের অধিক নিবাসী অবস্থান করছে।বিশ্বস্ত সূত্রে/নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক আশ্রয়কেন্দ্রের পরিসেবায় নিয়োজিত জনৈক কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়,সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন ধলা আশ্রয় কেন্দ্রে ২৮১ জন আশ্রিতের বিপক্ষে লোকবল আছে মাত্র ৬ জন।কোন বাবুর্চি না থাকায় আশ্রয়ে থাকা ছেলেগুলোকেই রান্না করে নিজেদের খেতে হয়।চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য নাই কোন ডাক্তার।নিজেদের পরিধেয় কাপড় বিছানাপত্র নিজেদেরই পরিস্কার করতে হয়। তাদের থাকার কক্ষসহ আশপাশ এলাকা নিজেদেরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়।

 

যা একটা শিশুর অধীকার পরিপন্থী।শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিষয়ের উপর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কোন লোকবল না থাকায় বুদ্ধি ও মানসিক প্রতিবন্ধী, এতিম,লাওয়ারিশ, ভবঘুরে শিশুরা মানসিকভাবে সুস্থভাবে গড়ে উঠতে পারছেনা।চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এখানে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়া লাওয়ারিশ মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু, বৃদ্ধদের এই আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।চিকিৎসায় সুস্থ না হলেও তাদের মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একটু পরিচর্যা পাওয়ার অধীকার রাখে।

 

ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন আশ্রয় পাওয়া এতিম,পথশিশু,মানসিক,বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য মৌসুমি ফল আম নিয়ে যান এবং নিজের হাতে খাইয়ে দেন।এসময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা শিশুদের সাথে কথাও বলেন,খোঁজ খবর নেন।ত্রিশাল থানা পুলিশ মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পুলিশ অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, তাদের প্রতি সেবার হাত বাড়িয়েছে।তিনি বলেন মানবিক আইজিপি স্যার,ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও পুলিশ সুপার আহমার উজ্জমান স্যারের নির্দেশনা রয়েছে, পুলিশের কাজই জনগণের প্রতি মানবিক আচরণ করে সেবা নিশ্চিত করা।

ময়মনসিংহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক( ডিডি) ওয়ালিউল্লাহ জানান, মানসিক প্রতিন্ধী শিশুদের শরীরে ঘা পচরা পড়ছিল । যথাযথ চিকিৎসা করানোর পর তারা সুস্থ । আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল । সেখানে একজন এডি দায়িত্ব পালণ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!