আনোয়ার হোসেন তরফদারঃ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টার বাড়িতে এক ভাড়াটিয়া কিশোরী কে লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে একই ইউনিয়নের স্থানীয় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মোঃ রেদুয়ান (৩৫) হবিরবাড়ি ইউনিয়নের মো. আবুল হোসেনের ছেলে। কিশোরীর বাড়ি পূর্বধলা থানার নেত্রকোনা জেলায়।
কিশোরী হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং স্থানীয় আবুল হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরী যে বাসায় ভাড়া থাকতেন মালিকের ছেলে রেদওয়ান একই বাসায় তার পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। রেদওয়ান বিবাহিত এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে অনেক আগেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে এক পর্যায়ে কিশোরী এবং রেদোয়ানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিশোরীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও রেদওয়ান জোরপূর্বক তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে থাকে।
গত ৩০ এপ্রিল বাসায় কোন লোকজন না থাকায় ৪টার দিকে ওই কিশোরী প্রয়োজনীয় কাজে ঘর হতে বের হলে জোরপূর্বক রেদুয়ান তাকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। গোপনে ভিডিও ধারণ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে আবারো তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে তার মাকে জানান এবং ওই দিন রাতেই কিশোরী তার বাবাকে সাথে নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে আসেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা নথিভুক্ত করেন মামলা নং ১৬/০৭/২১(২৭) এবং ওই দিন ৩টা ১০ মিনিটে মাস্টারবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে একমাত্র আসামি রেদওয়ান কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোস্তফা রুবেল জানান, মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করেছি।