করোনা ছাড়াও এই সময়ে নানা কারণে শিশু জ্বর আসতে পারে। এই সময়ে শিশুদের জ্বর আসলে অভিভাবকরা অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করছেন। কোভিট ১৯ করোনা মহামারির মাঝে জ্বর এলে সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। কারণ হঠাৎ করেই শিশুর তীব্র জ্বর আসছে। ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হারুন আল মাকসুদ তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে জ্বর আসলে ভয়ের কোন কারন নেই।
এই সময় অন্যান্য কারণে ও শিশুদের জ্বর আসতে পারে। আগের মতোই তারা সব কাজকর্ম করছে। আবহাওয়ার দিকও শিশুদের এসমস্যা হতে পারে। আল্লাহ পাক করোনা মহামারি আমাদের মাথার ওপর নতুন স্নায়ুচাপ তৈরি করেছে।
সে দিকে আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে।
কারনে শিশুর জ্বর হলো সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক কারণে হতে পারে। অনেক সময় ভাইরালের কারণে জ্বর আসে। শিশুদের টাইফয়েডের কারণে জ্বর আসতে পারে। ঠান্ডা পানি অথবা ভয়ের কারণেও শিশুর বাচ্চাদের জ্বর হতে পারে। বাচ্চাদের জ্বর হলে অনেক গার্ডিয়ান বাসায় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শিশুকে চিকিৎসা করাচ্ছেন ।
আমরা জানি জ্বর আসলে ২/১ বাড়িতে অথবা বাসায় আমরাও পর্যবেক্ষণ করি। এই মহামারিতে শিশু বাচ্চাদের বাহিরে বের করার প্রয়োজন নেই। ঘরে/বাসায় রেখে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু ডাক্তারের কাছে এসে কোন কিছু গোপন রাখবেন না।
বর্তমান সময় দেখা যাচ্ছে, বাচ্চার জ্বর আসার পর অভিভাবকরা নাপা সিরাপ খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু ডাক্তারের কাছে আসলে অন্যান্য উপসর্গের কথা ও জ্বরের বিষয়টি গোপন করছেন। এটি করা মোটেই ঠিক হবে না। এখন বাচ্চার জ্বর আসতেই পারে তেই কি করোনা হয়ে গেছে না আবার এ সন্দেহ করবেন না। শিশু বাচ্চার তীব্র জ্বর আসলে শুরুতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াবেন।
তবে বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা ঠিক রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সাথে অন্যান্য রোগের উপসর্গ আছে কিনা, তা ভালোভাবে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে। বর্তমানে ডেঙ্গুরও প্রকোপ বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে শিশু বাচ্চাদের খুবই কমন( সহজ সহজ) কিছু রোগব্যাধি হয়ে থাকে।
শিশুর জ্বর এলে অস্থির না হয়ে, ভেঙে না পড়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। ঘরে থাকুন,মাস্ক পড়ুন,করোনা টিকা নিন,আপনি বাচুন , অপরকে বাঁচান।
লেখকঃ ডাঃ হারুন আল মাকসুদ
আবাসিক মেডিকেল অফিসার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।