আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নদী ও খালে বাঁশের বাধ দিয়ে মাছ ধরায় স্থানীয় কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। এর কারণে স্থানীয় কৃষকরা আমন ধানের ফসল করতে পারেনা। তাই ইউএনও মিজাবে রহমত এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনে ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে বেড়িবাঁধ।
এসব বাঁধের কারণেই সেখানকার প্রায় মানুষ এখন পানিবন্দী। ফসল হচ্ছেনা কৃষকের। তাই পানি সরাতে কাটা হচ্ছে সেই সব বাঁধ।
ইউএনও মিজাবে রহমত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক দেখেন বিভিন্ন খাল, বিল ও নদীতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ বন্ধে কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত বাঁশের বাঁধ (হোকোশ) দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে মাছ ধরা হয়। কৃত্রিম বাঁশের বাঁধের ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি বেশিরভাগ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। গত ৫/৭ বছর ধরে এ কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণের ফলে অল্প বৃষ্টিতেই আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক বছরে একবার করে শুধু বোরো ধান চাষ করে। ফলে জমি থাকা সত্বেও অনেকে আমন ধান আবাদ করতে না পেরে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকার কারণে আমন ধান লাগালেও তা বেশিরভাগ সময় ডুবে থাকে। এতে অনেকবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক।
তাই উপজেলার সকল খাল, বিল ও নদীতে তৈরিকৃত কৃত্রিম বাশের বাধসমূহ নিজ নিজ দায়িত্বে আগামী এক সপ্তাহের মাঝে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়দের। অন্যত্থায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সেই ধারাবাহিকতা ৫আগষ্ট বৃহস্পতিবার কামারগাও ইউনিয়নের গজারীয়া খালে ও জামকোণা খালে কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত বড় বড় বেশ কয়েকটি বাঁশের বাঁধ (হোকোশ) দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে মাছ ধরার ৩টি বাধ অপসারণ করেন ইউএনও মিজাবে রহমত।এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহীদ পিংকি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম, তারাকান্দা থানার পুলিশ সদস্যগণ ও স্থানীয় জনসাধারণ।
ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানি সরাতে বাঁধ কাটার কাজ শুরু হওয়ায় পানিবন্ধী মানুষগুলো সন্তোষ প্রকাশ করে আনন্দ ও স্বস্তি প্রকাশ করাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।