সাইফুল ইসলাম তরফদারঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কালাদহ ইউনিয়নের শিবরামপুর পশ্চিম পাড়া লেভাজধারি মোঃ মোতালেব মেম্বার কাবিটা কর্মসূচির ২,১১,৮০০/ টাকার আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, কর্মসূচিটি সুশীল মাষ্টার বাড়ি হইতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেকের বাড়ি হইয়ে নূর মোহাম্মদ বিএসসি বাড়ি পর্যন্ত বালি-মাটি দিয়ে গর্ত ও নিচু জায়গায় দিয়ে জনদূর্ভোগ লাঘব করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে কর্মসূচির টাকা উত্তোলন করে ২ লড়ি ট্রাক বালি দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।এতে এলাকাবাসীর লেভাজধারি ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আরো গর্ত ও রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এবং জন দুর্ভোগ বাড়ছে। এযাবৎ অত্র ওয়ার্ডে কোন উন্নয়ন মুলক কাজ করেনি। শুধুমাত্র কাবিটা না আরও অনেক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প দিয়ে এলাকায় সে গুলো কাজ না করে আত্মসাত করেছেএলাকাবাসী জানান।
আরো ও জানা যায়,অত্র ওয়ার্ডে মুক্তিযুদ্ধের সাবেক উপজেলা কমান্ডার আনোয়ারুল হক খালেক সহ ঐ গ্রামে ১১জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির চালিয়ে যাচ্ছে লেভাজধারী ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব। একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের জানামতে এলাকায় উন্নয়ন মুলক কাজ করেছে সে গুলো আজ পর্যন্ত চোখে পড়ে নাই। লেভাজধারী ইউপি সদস্যের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সমাজ সেবক বাবুল বলেন,আমরা বাড়ি থেকে বাহির হইতে পারি না রাস্তায় কাঁদার জন্য। শুনেছি মেম্বার প্রকল্প আনছে, রাস্তায় কাজ করার জন্য, টাকা তুলে নাকি আত্মসাৎ করেছে। এখন আমরা নিজেরাই রাস্তা কোদাল দিয়ে ঠিক করতাছি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, লড়ি ট্রাক দিয়ে ২ ট্রাক বালি দিয়েছে। আর কোন কাজ করেনি। আমার বাড়ি এখানে। অনেক কষ্ট করতাছি গর্ত ও কাঁদা রাস্তার জন্য।
সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক বলেন, কর্মসূচির যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা দিয়ে যদি প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা বালি দিয়ে দেওয়া হতো টাকা আরো বেঁচে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে।
ফোনে মেম্বারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছি, কিছু কাজ করেছি, বর্ষার জন্য কাজ করতে পারিনি। অফিসের অনেক কেই মাইনাস করে চলতে হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন,কাবিটা প্রকল্পের মোতালেব মেম্বারকে বিল দেওয়া হয়নি। বিষয়টি দেখব। ##