আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকা, ময়মনসিংহ ঃ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের দুই কীর্তিমান পুরুষ, দুই যমজ ভাই, ডঃ নূরুল হক ও ডাঃ আজিজুল হক। প্রফেসর ডাঃ আজিজুল হক আজ থেকে ছয় বৎসর পূর্বে সরকারি চাকুরী থেকে অবসরে যান এবং ডঃ নুরুল হক গত ৪/৩/২২ তারিখে অবসরে যান।
নুরুল হক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষ শিক্ষক ইন্জিনিয়ার। তিনি ভারত থেকে মাস্টার্স ও ইউকে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে শিক্ষকতা ছাড়াও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে আসীন ছিলেন এই কীর্তিমান দুই ভাই । ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পদে কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য পদেও ছিলেন ডঃ নূরুল হক । তিনি লিখেছেন বেশ কয়েকটি গ্রন্হ, যাহা প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ইন্জিনিয়ার নুরুল হক তিন সন্তানের জনক দুই মেয়ে ইন্জিনিয়ার ও এক ছেলে চিকিৎসক। বড় মেয়ে বুয়েটের কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার, ভার্জিনিয়া থেকে পিএইচডি করে আমেরিকার আমাজনে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে এলজিইডি ইন্জিনিয়ার ও ছেলে ৪২ তম বিসিএস এ নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী সার্জন।
প্রফেসর ডাঃ আজিজুল হক শিশু বিশেষজ্ঞ,সদা মৃষ্ট ভাসী, অতিথি পরায়ন, তিনি বহত্তর ময়মনসিংহ ও নিজ উপজেলা ভালুকায় সবার কাছে অত্যান্ত প্রিয় পরিচিত মুখ। তিনি ১৯৯১ সালে শিশু বিষয়ে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। একই সময়ে ডঃ নূরুল হক নিউ ক্যাসল, বৃটেন থেকে ইন্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দুভাই ই ছাত্র- শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান নিয়েই কর্মব্যস্ত জীবন কাটান। অধ্যাপক ডাক্তার আজিজুল হক তিন সন্তানের জনক দুই মেয়ে, ডাক্তার এবং ছেলে বুয়েট শেষ করে আমেরিকায় পিএইচডিতে অধ্যয়নরত। দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষ হলেও বিগত ছয় বছর যাবত তিনি শিশু চিকিৎসায় কর্ম ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত অভিন্ন জমজ দুই ভাই। দেখতে এবং কথাবার্তায় একই রকম এবং আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জন সহজে তাদেরকে আলাদাভাবে চিনতে ভুল করে থাকেন।
জমজ দু-ভাই ও তাদের ছেলেমেয়েদের সাফল্যের পিছনে রয়েছে দুভাইয়ের কঠিন শ্রম, অধ্যবসায় ও সাধনা।
দুভাই ছোট বেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও কঠোর পরিশ্রমি, বন্ধু বৎসল ও বিনয়ী।
বাবা-মা, নায়েব ভাই, স্কুল কলেজের শিক্ষকবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা ছিল এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রণা।
সবশেষে, সহধর্মিণী ও সন্তানদের ত্যাগ ও সহনশীলতা অনিস্বীকার্য্য।
অবসর জীবনেও দুভাই এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সেবামূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন, এলাকার জনগণ এই প্রত্যাশা করেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তারা বলেন, প্রত্যেক পিতামাতার উচিৎ তার সন্তানদের সঠিক পরিচর্যা করা, বন্ধু সূলভ আচরণ করা তাহলে সন্তান মানুষের মত মানুষ হবে।
আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে বেচে থাকতে চাই, সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন অসহায় দুস্থ মানুষের সেবা করতে পারি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।