Header Image

মাদকের জিরোটলারেন্সে ওসি শাকের,নেত্রকোণা থানায় ৪৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১

 

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।

নেত্রকোনা মডেল থানা এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও তাূের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে অপরাধীদের আতঙ্ক হয়ে কাজ করছে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ।

 

জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তিনি নেত্রকোনা মডেল থানাকে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকসহ সকল প্রকার অপরাধ নির্মুলের মাধ্যমে নেত্রকোনা মডেল থানা এলাকাকে একটি জনবান্ধব ও জনগণের বসবাসযোগ্য নিরাপদ এলাকায় গড়তে দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন অপরাধ বিরোধী অভিযান। অভিযানের অংশ হিসাবে ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এর নেতৃত্বে নেত্রকোণায় পুলিশি তৎপরতায় ঢাকাগামী শাহজালাল (কোচ নং ঢাকা মেট্রো-ব ১৪১০৯১) নাম্বারের একটি বাস থেকে ৪৪ কেজি গাঁজাসহ কোরবান আলী (২৬) নামে এক মাদককারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তার আরও চার সহযোগী পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নেত্রকোণা মডেল থানার পুলিশের অভিযানে
জেলা সদরের পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কোরবান আলী গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বুরুলিয়া এলাকার মৃত নবাব মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া আরো চার সহযোগীর নাম ঠিকানা জানিয়েছে কোরবান। তারা হলো- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাধন(২৮), গাজীপুরের মাওনা এলাকার আসাদুল (২৩), একই এলাকার তমিজ(২৬) ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার আবদুল্লাহ(২৫)। পুলিশ আরও জানায়, কোরবান আলী একজন পেশাদার মাদককারবারি। তার নামে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এর আগেও নরসিংদীতে ২২ কেজি গাঁজাগহ গ্রেপ্তার।

নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই পাঁচজন সুনামগঞ্জ থেকে গাঁজার চালান নিয়ে বাসে করে ঢাকা যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। এতে কোরবান আলীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৪৪ কেজি গাঁজা পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর চার সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার নামে মামলা দিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। আর পালিয়ে যাওয়াদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এদিকে নেত্রকোনার সাধারন মানুষের জানায়- থানার বর্তমান ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ আসা মাত্রই নড়েচড়ে বসেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। কারণ মাদকের বিরুদ্ধে এক রকম জেহাদ ঘোষণা করেছেন থানার এই ওসি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সফল দায়িত্ব শেষে তিনি নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন। নেত্রকোনায় এসেই তিনি থানা এলাকার অপরাধ নির্মুলে দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। মাদককে জিরো টলারেন্স দেখানোর জন্য নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন । এজন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে সহযোগিতামূলক সমর্থনও পাচ্ছেন তিনি। এখানে প্রধান সমস্যা মাদক। মাদকের কারণে এখানকার উঠতি যুবকরা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল। নারী মাদক ব্যবসায়ীরা এখানে বেশি সক্রিয়। তার এ্যাকশন মুখী বড় বড় ডাকাতি বা চুরির ঘটনা নেই বললেই চলে। ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন-আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ মাদক ব্যবসা বন্ধ ও মাদকমুক্ত থানা উপহার দেয়া। যে কারণে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছি। এতে আমার প্রতি কিছু প্রভাবশালী ক্ষুব্ধ হলেও আমি আমার সিদ্ধান্তে বদ্ধপরিকর। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। নিজে অভিযানে যাচ্ছি। যেখান থেকেই অভিযোগ আসছে, সময়ক্ষেপন না করে সেখানেই অপারেশন চালাচ্ছি। যদিও রিস্ক থেকে যাচ্ছে তবুও পিছু হঠছি না। অভিযানে মাদক অনেকটাই কমে এসেছে। যতো দিন এখানে থাকবো মাদকের ব্যাপারে কোনো আপোষে যাবো না। এব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!