আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক, জাতির জনকের আদর্শে গড়া তরুণ রাজনীতিবিদ এইচ এম ফারুক বলেছেন-স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের বেশির ভাগই ঘটেছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। পিতার রেখে যাওয়া সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চার মেয়াদের শাসনামলে স্বাস্থ্য খাতে ঈর্ষণীয় কাজ করেছেন। বাড়িয়েছেন স্বাস্থ্যসেবার পরিধি। তিনি বলেন- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা বিস্তারের অধিকাংশ অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তিনি স্থাপন করেন। এখন আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তিনিই স্থাপনের কৃতিত্ব অর্জন করেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
বুধবার (২০শে এপ্রিল)ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিড লেভেল ডাক্তাদের আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলের ইফতার পুর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন-কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সফলতা,চিকিৎসাসেবার পরিধি বৃদ্ধি সবই হয়েছে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে স্বাস্থ্য সেবার চলমান উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিতে চিকিৎসকদেরকে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
এসময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃএইচএ গোলন্দাজ তারা,সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল একে এম আবুল হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব জননেতা অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ ছোট ভাই জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এইচ এম ফারুক, ডাঃ হরিমন পন্ডিত, ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুনডাঃ রিয়াদ আল হাসান, ডাঃ খুরশেদ আলমগীর, ডাঃ আমান উল্লাহ সামিউল নাসিম ভাঃ কায়েস সফি সহ সকল ইন্টার্ন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ অনুপম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান প্রমুখ।
এইচ এম ফারুক আরো বলেন-বিশেষায়িত হাসপাতাল, উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট কিংবা প্রান্তিক হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি সবকিছুই তিনি বাড়িয়েছেন বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
এক যুগের বেশি সময়ের শাসনামলে সরকারি হাসপাতালে তিনি সাত হাজারেরও বেশি শয্যা বৃদ্ধি করেছেন তিনি। ২০০৯-এ গণমুখী স্বাস্থ্যনীতির ধারায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে স্বাস্থ্যকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার যে প্রচেষ্টা শুরু, তা গত এক দশকে শতধারায় বিকশিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়; বিশ্বে তা এক মডেল, অনুশ্রেয় মানদণ্ড। দেশের জন্য ঈর্ষণীয় এবং তা জাতির ভবিষ্যৎ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।