ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দরিল্লা কমিউনিটি ক্লিনিকে রবিবার ৫ জুন করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রচারবিহীন তৃতীয় ডোজ কার্যক্রমে হয়রানির শিকার হয়েছে দরিল্লা গ্রামবাসী।
মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরিতে ব্যয় হয়ে আসছে অর্থ। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে সরকারী কার্যক্রম ব্যার্থ হতে চলেছে দায়িত্বশীল লোকদের দায়িত্বহীনতার কারণে।
শতভাগ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাক্সিনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে পূর্ব থেকে প্রচারের জন্য মাইকিংয়ের নির্দেশনা থাকলেও তার ব্যাবস্থা করেনি কতৃপক্ষ যার ফলশ্রুতিতে উপস্থিতির হার ছিলো খুবই কম।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর গড়িয়ে ২ টা বেজে গেলেও ভ্যাক্সিন নিয়েছে মাত্র ৫০ জন।ভ্যাক্সিন নিয়ে আসা আব্দুর রহিম বলেন, মাইকিং করা হলে এখানে তিন চার জন ভলান্টিয়ার লাগে লোকজন সামলাতে, শাইমুদ্দিন,পারভীন আক্তার বলেন,আমাদের এলাকায় কোন মাইকিং করা হয়নি আমরা লোকমুখে শুনে এসেছি আজ টীকা দেয়া হবে জানতে পারলে সবাই আসতো।
দরিল্লা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইটার রুমি সূত্রধর জানান,মাইকিং করা হয়নি। রামপুর ইউনিয়নের সাবেক ২ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী শাহজাহান সিরাজ বলেন,প্রচারের দায়িত্ব আমার না,মাইকিং হয়নি বলে উপস্থিতি কম লোকমুখে শুনে যারা আসছে তাদেরকে টীকা দিচ্ছি, এখন পর্যন্ত যার সংখ্যা ৫০ জন।কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি ইউপি সদস্য শাহজান মুরাদ জানান,মাইকিংয়ের দায়িত্বের থাকা ব্যাক্তির গাফিলতির কারনে এলাকার লোকজন টীকা নিতে পারেনি নয়তো শতস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ থাকতো।
মাইকিংয়ের দায়িত্বে থাকা হেলথ ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মোঃ আব্দুল বারেক জানান,এখন পর্যন্ত মাইকিং করা হয়নি। রাত ১০ টা হলেও মাইকিং করা হবে। মাঠের যত দায় দায়িত্ব সবই আমার। সারা দিনে টীকা দেয়া হয়েছে ১৪০ জনকে