Header Image

ভূমি অফিসের কাজের গতি এনে স্থানীয় জনগণের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ত্রিশালের এসিল্যান্ড 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দিন দিন ভূমি সেবা উন্নত হওয়ার সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মানুষের দিনকাল, সেই সাথে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে ভূমি অফিসগুলোতে কমে গেছে জনভোগান্তি। এরকমই তথ্য মিলেছে জেলার ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল, রামপুর, আমিরাবাড়ী, মঠবাড়ী, মোক্ষপুর, সাখুয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক ভূমি মালিকদের কাছ থেকে।

আমিরাবাড়ী, মঠবাড়ী, মোক্ষপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ভূমি মালিক জানান, এলাকাগুলো শিল্প এলাকা বিধায় আগে জমি সংক্রান্ত জটিলত ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা, এসব জটিলতা কেটে উঠতে ভূমির কাগজপত্র সংশোধন করতে ভূমি অফিসে দৌড়াতে হত মাসের পর মাস, এখন আর তা হয়না। তাঁরা বলছেন, ভূমি অফিসে বর্তমানে ভোগান্তি অনেক কম। সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের আচার-আচরণে পরিবর্তন এসেছে, তাঁরা বেশ আন্তরিক। উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার ভূমি এঁর রুমের দরজা অফিস চলাকালীন সব সময়ই খোলা থাকে। যে কোন সেবা গ্রহীতাই প্রয়োজনে তাঁর সাথে কথা বলতে পারে, তিনিও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন আন্তরিকভাবে।

সরকার ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করেছে। বর্তমানে প্রচলিত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতির পরিবর্তে অনলাইনে সকল ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হচ্ছে। ফলে ভূমি মালিকরা ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ভূমি উন্নয়ন কর দিতে এবং দাখিলা সংগ্রহ করতে পারছেন। দেশব্যাপী সব জায়গার মত ত্রিশালেও সবগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসেই অনলাইনে খাজনা আদায় কার্যক্রম চলমান, ফলে সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে গেছে।

উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কর্মমুখর পরিবেশে কাজ করছন। দালালের উৎপাত ও অন্যান্য নিরাপত্তার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। একজন ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশ “কোনো সেবাগ্রহীতা হয়রানির শিকার হবে না, যে কোনো সেবা যথাসম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করে সেবার মান বাড়াতে হবে, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে”। আমরা এই নীতিতেই চলছি, সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ আমাদের উপর সন্তুষ্ট।

সাধারণ মানুষের প্রশংসা আর ভালো কাজ করছেন এমন কথায় ত্রিশালের এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “সেবা দিতে হবে, কাজ করতে হবে -এটাই স্বাভাবিক; আমার ভালো কাজ না করাটাই বরং অস্বাভাবিক হতো। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। তাছাড়া আমার সকল পর্যায়ের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে একা এত ভালো করা সম্ভব ছিল না। ত্রিশাল উপজেলা ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাই কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিক আর সে কারণেই আমার দিকনির্দেশনাগুলো কার্যকর করতে পারছি, বাস্তবায়ন হচ্ছে সঠিক সেবা প্রদানের অঙ্গীকার। তাছাড়া আমার ভালো কাজের পেছনে রয়েছে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক নির্দেশনা এবং উৎসাহ-অনুপ্রেরণা; আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই, কাজে বিশ্বাসী, যেকোনো মানুষ তার ওপর অর্পিত দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করলেই একদিন সফল মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয় তথা সরকার তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আধুনিকায়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে আমাদের ভূমি সেবা গ্রহীতাদের হয়রানিমুক্তভাবে, সহজে, স্বল্প সময়ে যেন সেবাটা দিতে পারি, এজন্য টোটালি একটা ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি শুরু করেছে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছে; আমরা আশা করি এগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে মানুষ এ ভূমি অফিসগুলো থেকে আরও বেশী বেশী সেবা পাবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!