Header Image

সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ভূয়া চেকে উত্তোলন

মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহ সোনালী ব্যাংক এর কর্পোরেট শাখার সদর উপজেলার ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের এলজিএসপি একাউন্ট নং ২০০০৮৩৮৯২ থেকে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩ শ ১১ টাকা ৫টি চেকে উত্তোল হয়ে ফের জমা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সরকারের এই টাকা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান , সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের যৌথ একাউন্টে জমা ছিল। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কে এই অদৃশ্য মহা ক্ষমতাবান যে, চেয়ারম্যানের হাতে চেকের পতা গুলো সংরক্ষিত থাকার পরও বিভিন্ন ভাবে উত্তোলনকৃত সমুদয় টাকা ফের ৬ জানুয়ারী জমা হয়ে গেল!
সূত্র জানিয়েছে, ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের ৩ জনের নামে যৌথ একাউন্টে সরকারের জমাকৃত টাকা হতে চেক নং-৩৩১৬২০৯৮৩১, ৩২, ৩৩, ৩৮ ও ৩৯ মূলে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩ শ ১১ টাকা রহস্য জনক ভাবে উত্তোলিত হয়। চেকের স্বাক্ষরের সাথে একাউন্টধারী ৩ জনের স্বাক্ষরের কোন মিল নাই বলে তারা জানান। এমন সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বদলি জনিত কারণে উক্ত একাউন্ডের টাকার ব্যাংক স্ট্যাট ম্যান্ট সংগ্রহ করে দেখেন উল্লেখিত সংখক টাকা একাউন্টে নেই। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ডিডিএলজিইডি ও ইউপি চেয়ারম্যান তৎপর হয়ে উয়ে উঠেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সোনালী ব্যাংক কার্পোরেট শাখার ম্যানেজারের সাথে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করলে পরবর্তি সময়ে ৬ জানুয়ারী ২০২০ সনে খোয়া যাওয়া টাকা জমে হয়ে যায়। উক্ত ব্যাপারে চেয়ারম্যান জানান, উত্তোলন কৃত নাম্বারের চেক গুলো তার কাছে সংরক্ষিত আছে। ঘটনাটি প্রশ্ন বৃদ্ধ হওয়ায় চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ও সচিবসহ অপরাপর সদস্যদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তি সময়ে ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে জানতে পারে উক্ত একাউন্টে খোয়া যাওয়ার টাকা জমা রয়েছে। প্রশ্ন বৃদ্ধ করেছে কোন অদৃশ্য মহা শক্তিধর উল্লেখিত টাকা উত্তোলন করে ফের জমা দিয়েছেন?
এ ব্যাপারে ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উক্ত নাম্বারের চেক গুলো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। এটা ব্যাংকের ভুল ছিল। ব্যাংক টাকা ফেরৎ দিয়েছে।
ময়মনসিংহ সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ম্যানেজারের সাথে তার কার্যালয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি প্রতিবেদকের উপস্থিতি জেনে চলে যান।
১০নং দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কি বলব। আমি ডিসির চাকুরী করি। আমি কথা বলতে হলে ডিসি সাহেবের অনুমতি লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!