Header Image

ময়মনসিংহের অষ্টাধরে ভোর রাতে গরীবের দুয়ারে মানবতার ফেরিওয়ালা ইউএনও হাফিজুর রহমান

 

আরিফ রববানীঃ

মানুষ চিরঞ্জীব হয়ে থাকেন তাঁদের কর্মের মধ্য দিয়ে, অতীতে যত মহান ব্যক্তি পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন তাঁরা তাঁদের কর্মের মাধ্যমেই অমর হয়ে আছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ধাবিত হন। কেউ রাজনৈতিক পরিমন্ডলে, কেউবা অর্থনীতিতে, আবার কেউবা সমাজসেবায়, কেউবা শিক্ষায় নিজেকে অম্লান করে রাখতে চায়, যাতে এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেও তাঁদের কর্মকান্ডে তাঁরা বেঁচে থাকতে পারেন। এমনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, দুরৃণীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদী সরকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান। যিনি ময়মনসিংহ সদরের ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসংখ্য গরীব,দুস্থ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে নিজের বেতনের অর্থ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। যিনি সকল পেশাশ্রেণীর মানুষ কে সমমুল্যায়নে নিয়ে কাজ করেন। তার দপ্তর সকলের জন্য উম্মুক্ত। চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যিনি রাত-দিন বিভিন্ন ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় ছুটে চলছেন মানুষকে সচেতনতন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে। একই সাথে ঘরে থাকা কর্মহীন শ্রমজীবী দরিদ্রদের খুজে খুঁজে প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় কর্মহীন এসব গরীব হত-দরিদ্র অসহায়দের ঘুরে-ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ১০ই এপ্রিল শুক্রবার
রাতে অষ্টধার ইউনিয়নের ঝাপারকান্দা গ্রামে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান। এসময় তার সাথে ছিলেন অষ্টধার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তারেক হাসান ।

ইউএনও শেখ হাফিজুর রহমান- দেশের এই কঠিন সময়ে অসহায় গরীব পরিবারের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান । তিনি বলেন-গরীব অসহায় মানুষের পাশাপাশি মধ্যেবিত্ত পরিবারের খবর নিয়ে আপনারা তাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করুণ। তিনি বলেন বর্তমান এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই ভাবে অবস্থান নিয়েছেন তা আসলে প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয় বর্তমানে আমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে সরকারের পাশে দাড়িয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। আমি দেশের মানুষ কে বলতে চাই আপনারা নোবেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আতংকিত না হয়ে সচেতন হয়ে ঘর বসে মোকাবিলা করুণ।
ভোর রাতে ইউএনও’র দেওয়া খাবার পেয়ে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেন সুবিধা ভোগীরা। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!