ময়মনসিংহের ত্রিশালে আরাফাত হোসেনের লাশ ৪৩ দিন পর অবশেষে দাফনে সম্মত ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুজন ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ, কোতোয়ালি পুলিশ ও বৈশাখি টেলিভিশনের সাংবাদিক আ ন ম ফারুকের সহায়তায় ও মধ্যস্থতায় আরাফাতের পিতা মজনু মিয়ার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে এই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে করোনা সন্দেহে নিহতের পিতা ছেলের লাশ নিতে অনিচ্ছুক দাবি করে বুধবার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় আবেদন করে। খবর পেয়ে সুজন মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ তার পিতার কাছে লাশ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেন। এছাড়া সাংবাদিক আ ন ম ফারুক নিহতের পিতার সাথে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আলোচনা চালিয়ে যান। অবশেষে সন্ধ্যায় তার পিতার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তবে সামাজিক বাধা ও আথিক অনটনের কারনে পিতা মজনু মিয়া ছেলের মৃত লাশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় সাংবাদিক আ ন ম ফারুক লাশ ও দাফনের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তা তাৎক্ষনিক মিটিয়ে দেন। রাতেই লাশ দাফন হবে বলে সুজন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ জানিয়েছেন। সাংবাদিক আ ন ম ফারুক বলেন, মজনু মিয়ার বাড়ি ত্রিশাল। তার ছেলে নিহত আরাফাতের দাফন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা সমালোচনা চলতে থাকায় এবং কেউ এগিয়ে না আসায় ত্রিশালের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে মেয়র আনিছুর রহমান এবং আরাফাতের পিতা মজনু মিয়ার সাথে বার বার যোগাযোগ করে ত্রিশালেই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে এই উদ্যোগ নেই।