স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় পারিবারিক বিষয়াদির বিরোধকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে নিরীহ এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এই গঠনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এ ঘটনা ফেরাতে গিয়ে হামলাকারীদের আঘাতে ৪জন গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে । গত ৩০শে জুন মঙ্গলবার সকাল প্রায় ১১টায় উপজেলার ১২নং ভাব খালী ইউনিয়নের চুরখাই কোনাপাড়া এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৭জন কে আসামী করে কোতুয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার লিখিত অভিযোগে জানা যায়,উপজেলার ভাবখালী ইউনয়নের চুরখাই কোনাপাড়া এলাকার গ্রামের নিরীহ আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল কাশেম(৩৮) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে শত্রুতা চলছিল এলাকার প্রতিবেশী রজব আলীর পুত্র আবু হানিফ,আব্দুল খালেক,খালেকের পুত্র কালা মিয়া,বারেকের পুত্র চাঁন মিয়া,হানিফের পুত্র আলামিন আমিরুল,বারেকের পুত্র হরমুজ আলী গং নামক প্রভাবশালীদের।
পারিবারিক এই শত্রুতার এই জের ধরে ৩০শে জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অভিযোগ কারী আবুল কাশেমের ছোট ভাই আবুল হাসেম (৩৪)বাড়ীর সামনে রাস্তায় বের হলে এসময় রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উৎ পেতে থাকা অভিযুক্ত আসামী হানিফের নেতৃত্বে আসামীগংরা আবুল হাসেমকে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু। তাদের গালি-গালাজ শুনে আবুল হাসেম গালাগালি করতে নিষেধ জানাতেই আসামীরা আবুল হাসেমের উপর চড়াও হয় এবং খুন করার হীন উদ্দ্যেশ্য নিয়ে মারপিট ও এলো পাতারি আঘাত শুরু করে, এতে হাসেম মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় আবুল কাশেমের বড় ভাই সুরুজ আলী( ৪০) ভাইকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে মামলার আসামী কালা মিয়া সুরুজ আলীকেও মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। মারাপিট বৃহৎ আকার ধারণ করলে অবিযোগকারীর প্রতিবন্ধী ছোট ভাই জসিম উদ্দীন (২৮)ঘটনাস্থলে আসলে তাকে ৫নং আসামী আলামিন দারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে, এসময় বাদী চাচাতো ভাই মুনসুর এগিয়ে আসলে তাকেও আসামীরা মারাত্মক ভাবে আহত করে। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় ৪জন কে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলা কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তারা হাসপাতালের ৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
পারিবারিক সামান্য কলহ নিয়ে এভাবে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা মারধর করে ৪জন নীরীহ ব্যক্তিকে মারাত্মক ভাবে রক্তাত্ব জখম করায় এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে উচ্ছৃঙ্খল এসব আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় স্থানীয় গণ্যমান্য ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।
তবে এব্যাপারে আসামীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল কাশেম বাদী হয়ে কোতুয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে এব্যাপারে মামলা রুজু করেন যার মামলা নং-৬৪/৫১৬। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফারুকের কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন- মামলা সম্পর্কে কিছু জানতে হলে থানায় এসে জেনে নিবেন। এব্যাপারে কোতুয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদারের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।