Header Image

পুটিবিলায় টানা বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল ধ্বসে পড়ায় অন্যের ঘরে দিন কাটাচ্ছে অসহায় দুই পরিবার

 

ইসমাইল হোসেন সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধি:

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গৌড়স্থান নয়াপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত্যু বশির আহমদ ও মৃত্যু ইলিয়াস মিয়ার মাটির ঘরের দেওয়াল ধ্বসে পাড়ার কারণে এখন জীবন ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে এই দুই অসহায় পরিবার।

গত ২৯ জুলাই”২০২১ইং বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত্যু বশির আহমদ ও মৃত্যু ইলিয়াস মিয়ার মাটির বাড়ি দুইটি অতিবৃষ্টিতে ধ্বসে পড়েছে দেওয়াল। উড়ে গেছে ছাউনির প্রায় অর্ধেক টিন। ভাঙা চালের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আকাশে ঘনকালো মেঘের আনাগোনা। এই বুঝি নামবে বৃষ্টি। ভিজে যাবে ঘরে বসবাসের বিছানাপত্র। এরকম ভাঙা ঘরে, ভাঙা চালের নিচে বসে বসে দুশ্চিন্তায় এই দুইটি অসহায় পরিবারের। তাদের দু’চোখজুড়ে হতাশার ছাপ। এই অসহায় দুই পরিবার দিন শেষে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দেন নির্মিত এই ভাঙা ঘরেই। স্বপ্ন দেখেন আগামী দিনের। স্বপ্ন দেখেন শেখ মুজিবের সোনার বাংলার।

কিন্তু সম্প্রতি টানা বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় তার ঘরের ভিতর ও চারপাশ। এতে ধ্বসে পড়ে ঘরের দেওয়াল। সংস্কারের অভাবে অনেক আগেই ধীরে ধীরে ঘরের চালাটাও নষ্ট হয়ে যায় তাদের। এই ভাঙ্গা ঘরেই মানবেতর জীবন-যাপন করে আসতেছে এই অসহায় দুই পরিবার।

তাদের এমন দুর্ঘটনার সংবাদ পৌঁছে যায় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইউনুচ এর কাছে। চরম বিপদের মুহূর্তে যখন দুই চোখে হতাশার ছাপ, মাথার উপর খোলা আকাশ, ঠিক তখনই তাদেরকে ডেকে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইউনুচ। তখন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বাড়ি করার জন্য ইউএনও মহোদয়’কে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.ইউনুচ। এই খবর শুনে সাথে সাথে তাদের দু’চোখ বেয়ে নেমে আসে আনন্দের অশ্রু।

অসহায় মৃত্যু বশির আহমদ ও মৃত্যু ইলিয়াস মিয়ার পরিবার উক্ত প্রতিবেদককে জানান, এই জগত সংসারে আমাদেরকে দেখার মত কেউ নেই। এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে কাজ করতে পারি না। তাই কোন রকম এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জীবন নির্বাহ করতেছি। বৃষ্টির পানিতে কাঁচা ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় খোলা আকাশের নিচে অসহায় অবস্থায় পরিবার নিয়ে পড়ে আছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী ও প্রশাসনের এ সহায়তা পেলে আমরা কিছু টা হলেও ক্ষুধা মেটাতে সক্ষম হতে পারবো। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের দাবি, বসবাসের জন্য ছোট্ট একটি ঘরের। তখন হতে পারে তাদের একটা সুন্দর সংসার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব জিতু জানান, মাটির দেওয়াল ধ্বসে পাড়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ইউপি চেয়ারম্যান-এর মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এছাড়াও তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!