Header Image

ত্রিশালের কালির বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি ও ইজারাদারের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তি করলেন চেয়ারম্যান কামাল

 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কালির বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও বাজার ইজারাদারেদ মধ্যকার বিরোধের নিষ্পত্তি করলেন সাবেক ছাত্রনেতা,মেধাবী রাজনীতিবিদ, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল ।শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে অরাজকতা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষেরই ক্ষতি। তাই তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুপক্ষের সম্মতি ক্রমে এর সুষ্ঠু সমাধান করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬শে আগষ্ট) সন্ধ্যায় বাজারে অবস্থিত নও হেলাল ক্লাবে কালীর বাজার ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের নিয়ে বসে এক মত বিনিময়ের মাধ্যমে আলোচিত এই বিরোধের নিষ্পত্তি হয়।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামালের সভাপতিত্বে বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাজারের ইজারাদার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীগন উপস্তিত ছিলেন। এতে দুই পক্ষের বিরোধে বাজারের
ধান চাল ব্যবসা সহ সকল কিছুর বেচা কেনা করার যে
সমস্যা ছিলো তা উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করতে সক্ষম হন চেয়ারম্যান কামাল। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবসায়ীগন কে পুর্বের মত ধান,চাল
ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এসময় ঝগড়া নয় শান্তি চাই,মিলে মিশে বাঁচতে চায় এমন মানবিক চেতনায় বাজারের দাঙ্গা নিরসন কমিটি গঠন করারও মতামত ব্যক্ত করা হয়।

সুত্র জানায়, কালীর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও ইজারাদার নয়ন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে বাজারের ইজারা আদায় নিয়ে দুপক্ষের মাঝে হামলার মতো ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে মাসের পর মাস গ্রাম বাজারের ধান,চাল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালাতে পারছিলো না,এতে একদিকে স্থানীয় ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে যেমন আতঙ্ক ছিলো, অপর দিকে ইজারা আদায় না হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলো।

পরিস্থিতি দিন দিন আরো ভয়াবহতায় রূপ নিলে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান কামাল। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের অনুসারীদের নিয়ে আপোষ মিমাংসায় বসেন কাঁঠাল ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ,গণ্যমান্য সহ চেয়ারম্যান কামাল।

উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান কামাল বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে এলাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে চায়। দাঙ্গা হাঙ্গামা,ঝগড়া,বিবাদ এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি,মানুষিক দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। এই কারণে এই এলাকায কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হতে পারে। তাই এলাকার উন্নয়ন ও এই ঐতিহ্যবাহী কালির বাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনাদের এই পথ থেকে সরে আসার কোন বিকল্প নেই। পরিশেষে উভয় পক্ষকে হাতে হাত মিলিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে দিয়ে, এই শান্তি প্রকৃয়া অব্যাহত রাখতেও আহবান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!