মোঃ অারিফুজ্জামান:
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে দেড় বছর আগে মা চলে যায় প্রেমিকের সাথে।নতুন প্রেমিককে বিয়ে করে, ঘর বাধে নতুন প্রেমিকের সাথে।
১১ বছরের ছামিয়া আর সারে ৩ বছরের ফাহিম একমাত্র আশ্রয়স্থল হয় অটোরিকশা চালক পিতা।কিন্তু ভাগ্যে সুখ না থাকলে,সব আশ্রয়স্থলই হারিয়ে যায়।তেমনটাই ঘটলো ছামিয়া-ফাহিমের জীবনে।অটোরিকশা নিয়ে গিয়েছিল যাত্রী নিয়ে। তখন পড়ে ছিনতাইকারীর কবলে।ছিনতাইকারী অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় ছামিয়া-ফাহিমের পিতাকে চেতনানাশক খাইয়ে দেয় ছিনতাইকারীরা।
চেতনানাশক খাইয়ে দিয়ে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।আর চেতনানাশক এর ক্রিয়ার ফলে উনি মৃত্যু বরণ করে চলে যান না ফেরার দেশে।
ছামিয়া-ফাহিমের শেষ আশ্রয়স্থল টুকুও হারিয়ে যায়। মৃত্যুর সময় পিতা কোন সম্পত্তি রেখে না যাওয়ায় পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়ে শিশু দুটো।বৃদ্ধ দাদা-দাদির সাথে চাচাদের অনুদানে কোনভাবে চলছিলো শিশু দুটোর জীবন।মূল্যবান মৌলিক চাহিদা গুলো থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলো শিশু দুটো।
Md Arifujjaman কাছে কথা গুলো শুনার সাথে সাথে Arfan’s Smiling Baby ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক Arfan Uddin কে জানানো হয় । পরে স্মাইলিং ব্যাবি ফাউন্ডেশন এর একটি টীম পাঠায় ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে। ঘটনার সম্পূর্ন সত্যতা পাওয়ার পর আরফান কে জানালে অতিদ্রুত বাচ্চাদুটোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা দেয়।এবং বলেন প্রথমে শিশু দুটোর সকল মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যবস্থা নিতে।আরফানের নির্দেশনা অনুযায়ী সাথে সাথেই বাচ্চা দুটোর খাবারের জন্য চাল,বিস্কুট, দুধ সাথে পোশাক এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাউপকরণ পৌঁছে দেয় টীম স্মাইলিং ব্যাবি ফাউন্ডেশন। আরফান উদ্দিন ভাই শিশু দুটোর সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।