Header Image

ত্রিশালে টিবিসি ইটবাটার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ

এটিএম মনিরুজ্জামানঃ

ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুর গ্রামে ও রামপুর ইউনিয়নের চকরামপুর কাজির কান্না গ্রামে টি,বি,সি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ইটভাটার সংখ্যা ও মালিকানার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি বিধি অমান্য করে ক্ষমতার দাপটে দেদাচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা।

এ ব্যাপারে আদৌ কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ও সমাজের সচেতন মহলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রে জানা যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রিশাল ইটভাটার তালিকায় টিবিসি ইটভাটার একটি নামের তালিকা রয়েছে তালিকায় প্রোপ্রাইটর মোঃ তাফাজ্জুল ইসলামের নাম দেওয়া থাকলেও মোবাইল নম্বরটি অন্য এক ব্যক্তির এমনকি রেজিস্ট্রেশনে আছে / নাই কলমে সরকারি রেজিস্ট্রেশন নাই বলে উল্লেখ আছে এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই বলেও সূত্রে জানা যায়। প্রশাসনকে ফঁাকি দিয়ে একটি বাটার তালিকায় থাকলেও দুটি বাটা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে।

এ ছাড়াও সরকারি হালট সম্পতি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সরে জমিনে তদন্তে গেলে দেখা যায় রামপুর ইউনিয়নে চকরামপুর কাজি কান্না গ্রামে টি সি বি ইট বাটা রয়েছে তার চার পাশে গেসে রয়েছে গন বসতি বাড়ী ও বাটার একশত ৫০ গজ অদুরে রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক যেখানে সরকারি খোলার দিন গর্ভবতী মা সহ প্রতিদিন প্রায় অসংখ্য রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন।

ক্লিনিকের পাশ দিয়ে গেসে যাওয়া ইট বাটার রাস্তাটি প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত চলে বাটার টলি, লড়ি আসা যাওয়া শব্দ দুষনে রোগীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। আশে পাশের এলাকাবাসী জানায় এই ইট বাটার করার পর থেকে আমাদের এলাকায় ছোট বড় মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশী বেড়ে গেছে এবং বিভিন্ন গাছ পালার ফলন একে বারেই কমে গেছে,এমনকি আমাদের ধান ও কৃষিজাত ফসলের উৎপাদন একেবারেই কমে আসছে।

এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক দেরকে সমস্যার কথা বললে তারা বিষয়টি কোন কর্নপাত না করে বরং এলাকা বাসীদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানান। স্যার দেখেন কলাগাছটি ইট বাটার কালদোয়া ও গাড়ি চলাচলের দোয়াই একে বাবেই কালো ময়লা যুক্ত হয়ে পড়েছে , এই গাছে কি ভাল ফলনে আসা করা যাই?

পরিবেশ দূষণে ক্ষতিকারক বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের উধতন কতৃপক্ষের ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকা বাসী।

এ ছাড়া ইট বাটার পরিদর্শনে যাওয়ার পর ম্যানেজার সাহেবের সাথে কথা বললে ম্যানেজার সাহেব মালিককে কল দেন এবং মোবাইলে যোগাযোগ করার পর মালিক এর নাম মোঃ আইবালী মেম্বার নাম প্রকাশ করেন। মালিকানা নিয়েও রয়েছে জটিল রহস্য। ইঠ বাটা নিয়ে এমন লুকো চুরি ব্যবসা নিয়ে ভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

আসলে প্রকৃতি মালিক কে প্রকৃত তথ্য গোপন করা, ও সরকারি বিধি অমান্য করে কোন ক্ষমতার চালিয়ে যাচ্ছে এ ধরনের বেআইনি ব্যবসা?

২য় পর্বে থাকছে আরও বিস্তারিত……..

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!