Header Image

জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে, তদন্তে এসে জানালেন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক

 

‘সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে’ ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে সরেজমিন তদন্তে এসে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মোঃ শফিউর রহমান।

সোমবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে জানান,  এবিষয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিবে। এ ঘটনায় যারা জড়িত আছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন।

এছাড়াও একই ঘটনায় দুপুরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।

সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী জানান,  হাসপাতালে কর্মচারী দ্বারা সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জুয়েল আহমেদ জানান, ঘটনাটি আমি আমার উর্দ্ধতন  কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। আশা করছি দোষীরা দ্রুত বিচারের আওতায় আসবে।

হামলার ঘটনায় প্রধান তদন্তকারী ডা: মনোয়ার সাদাত জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তদন্ত রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পেশ করবো।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকা কে জানান- এব্যাপারে আমি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। তাদের কে বরখাস্ত করা হবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান-আমরা তো তদন্ত করে পাঠাবো পরে স্যার ( ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক)যে ব্যবস্থা নিবে সেটাই হবে। তবে আপাদত তাদের কে কর্মস্থল থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ জনসাধারনের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এ হাসপাতালটির এমন দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সেবাপ্রত্য্যশীরা। তাদের দাবি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভালো চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে এ হাসপাতালটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চাকুরির সুবাদে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে ডাক্তার, কর্মকর্তা – কর্মচারীরা।  ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমাণের খাবার পরিবেশন, টেন্ডারের শর্তের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মাফিক তা পরিবেশন করছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি, ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরে। বিশেষ করে  নিজেদের ইচ্ছেমতো আসা যাওয়া করছেন ডাক্তাররা। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ছুটি নেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে অস্বচ্ছতা। আবার অনেকে সময়মতো আসলেও সুযোগ বুঝে লাইনে রোগী রেখে আড্ডা দিচ্ছেন অন্যত্র। এছাড়া ওয়ার্ড বয় দিয়ে করানো হচ্ছে প্যাথলজি বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি আদায়ের কাজ। সময়মতো চিকিৎসাসেবা না পাওয়া ও ডাক্তারদের অনিয়ম সহ সংবাদ প্রকাশের জেরে গত শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের হামলায় চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!