Header Image

তারাকান্দায় ভুমি দস্যু কমল গংদের হয়রানীর প্রতিবাদে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলাধীন মোকামিয়াকান্দা মৌজার অধিবাসীদের পক্ষ হতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় দুই শতাধিক লোকের স্বাক্ষরে ভুমিদস্যু কমল আগরওয়ালা ও দিলীপ আগরওয়ালা কর্তৃক এলাকাবাসীকে হয়রানী করা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর গত ১৪/০৯/২০২৩ তারিখ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উল্লেখ করেন যে, আমরা প্রায় শত বছর যাবত উক্ত মৌজায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি।

অত্র মৌজার ৮৬ নং দাগের এস. এ (আর ও আর) খতিয়ান নং৪৪ এর রেকর্ডীয় মালিক ঘিষালাল আগরওয়ালা তৎনামে রেকর্ডভুক্ত দাগের দক্ষিণ অংশের ২একর ২৮শতাংশ জমির সম্পূর্ণ ভুমিই ঘিষালাল ও তার পুত্র বাবুলাল আগরওয়ালা তাদের জীবদ্দশায় বিক্রি করে দিয়ে তারা সম্পূর্ণ নিঃসত্ববান হন।

পরবর্তিতে আর এস ( বি আর এস) রেকর্ডের সময় একই দাগের হওয়ার সুবাধে এবং ভুমি জরিপ অফিস তাদের নিজ বাসায় হওয়ার সুযোগ নিয়ে উক্ত ৮৬নং দাগের ৪৩ ও ৪৮নং খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমি ( যা তাদের মালিকানাধীন নয়) ঘিষালাল আগরওয়ালার পুত্র বাবুলাল আগরওয়ালা, কমল আগরওয়ালা ও দিলীপ আগরওয়ালা অত্যন্ত সুকৌশলে তাদের নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। বর্তমানে ৪৩ ও ৪৮নং দাগের জমির মালিকগণ বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে মোকাদ্দমা দায়ের করিয়াছেন। কোন কোন মামলা ডিগ্রি লাভ করিয়াছে।

এসিল্যান্ড এর নির্দেশে স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েব ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন তদন্তে জমির প্রকৃত মালিকগণের দাবী সঠিক প্রমাণিত হওয়া সত্বেও ভুমিদস্যু কমল ও দিলীপ আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। তারা নিজেদের রাজনৈতিক দলের বড় নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক দাবী করে বিভিন্ন অফিসে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। উক্ত পরিচয়ে তারা আমাদেরকে স্বীয় সত্বভুক্ত ভূমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বড় মসজিদ এর প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ এলাকাবাসীর ধারণা, এই ভুমিদস্যুদের মদদ যোগাচ্ছে তারাকান্দা উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসের নাযির। তিনি এসিল্যান্ডের পরোক্ষ সহযোগীতায় সেবা গ্রহীতাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেন। লোক মুখে শোনা যায়, প্রতিটি খতিয়ান খুলতে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয়।

ভুক্তভোগীগণ সহ এলাকাবাসী মনে করে যে, ভুমি দস্যু চক্র ও ভুমি অফিসের অসাধু অফিসারদের দৌরাত্ম অবিলম্বে বন্ধ না করলে এলাকায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই, সংশ্লিষ্ট মহলকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসের নাযির আব্দুল মজিদের সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্যারের সামনে আছি পরে কথা বলি। তারাকান্দার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা সুলতানা বলেন, উভয়ই পক্ষের কাগজ পত্র দেখা হয়েছে। কমলগং আদালতে রিট করেছে। বিবাদীগণ উক্ত রিটের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!