Header Image

ত্রিশালে উন্নয়নের স্বার্থে শামীমাকে মেয়র হিসাবে পেতে চায় পৌরবাসী

 

স্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর সভার উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ৯ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রথমবারের মতো এই পৌর এলাকার ভোটাররা ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিবেন। ত্রিশাল পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। নারী ও পুরুষ ভোটার মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮২২।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে। কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ভোট সংগ্রহের চেষ্টা।পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থী ও কর্মীরা। পোস্টার,মাইকিং এবং বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা দিচ্ছেন উন্নয়ন ও নানান ধরনের প্রতিশ্রুতি। তবে প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় একজন নারী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত হেভিওয়েট নারী প্রার্থী। নিবার্চনী মাঠে সর্বক্ষণিক বিচরণ করায় তিনি জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে নারী ভোটাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে তিনি ত্রিশাল পৌরসভার তিন তিন বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র,সদ্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছের সহধর্মিণী হওয়ার কারণে সবাই তাকে মেয়র হিসেবে চাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে তার স্বামীর মতো পৌরসভাকে আরো উন্নত করবেন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। শামীমা আক্তার জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করলেও তাকে বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর ও স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। তারা সকলেই একাট্টা হয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। নেতাকর্মীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌর শহরের অলিগলিতে দল বেঁধে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করায় ভোটের ময়দানে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে কর্মী সমর্থকদের দাবি।ভোটের দিন যেতই ঘনিয়ে আসছে শামিমার জনপ্রিয়তা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের নিকট জানতে চাইলে ত্রিশাল পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আনোয়ার হোসেন বলেন, এমপি আনিছজ্জামানকে বিগত তিনবার মেয়র পদে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখন তিনি এম পি হয়েছেন,তাই তার স্ত্রী মেয়র হলে এই পৌরসভা একটি আলোকিত এবং সবেচেয়ে উন্নত পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হবে বলে আমি বিশ্বস করি।

মোস্তাফিজ নামের জনৈক ভোটার জানান পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে এমপির সহধর্মিণীকে বিজয়ী করা দরকার।তার দ্বারা পৌরসভার উন্নয়ন করা সম্ভব। পৌরসভার ২ নম্বর ওর্য়াডে সাইফুল ইসলাম বলেন,আমাদের দুই নম্বর ওর্য়াডের অধিকাংশই ভোটার এমপির সহধর্মিনী শামীমা আক্তারের পক্ষে কাজ করছেন।
শরিফা বেগম নামের জনৈক ভোটার বলেন একজন নারী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেনে আমরা খুশি,তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

হান্নান মিয়া বলেন,আনিছ ভাই একটানা তিনবার পৌরসভার মেয়র ছিল। এখন তিনি পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য তার সহধর্মিণী মেয়র পদে প্রার্থী হন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ভোটার রিনি বলেন,শামীমা ভাবি উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী,ইনশাল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। ত্রিশাল পৌর সভার কাউন্সিল রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,মেহেদী হাসান নাসিম,আলমগীর হোসেন আলমগীর বলেন এমপি মহোদয়ের সহধর্মিণী শামীমা আক্তার একজন ভালো মনের মানুষ, তার সাথে পৌরসভার সাধারণ জনগণ আছে।

শিক্ষক আব্দুর রশিদ,সজিবুল ইসলাম সজীব,আব্দুর রাজ্জাক,মোবারক হোসেন জানান,বিগত নির্বাচনে আমরা যখনই আনিছ সাহেবের বাসায় গিয়েছি,তখন তার স্ত্রী শামীমা আক্তারের আচার আচরণ,ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ,আমরা চাই তিনি বিজয়ী হয়ে এই পৌরসভা কে আরো উন্নত করুন।

৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অলহরী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার,স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলনা আনিসুর রহমান বলেন,শামীমা আক্তার একজন পরহেজগার মানুষ,আমরা তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!