Header Image

সিনেমার গল্পের সঙ্গে বর্তমান করোনাভাইস আক্রান্ত পৃথিবীর এতোটা মিল দেখে যে কেউ চমকে যাবেন।

সিনেমার গল্পের সঙ্গে বর্তমান করোনাভাইস আক্রান্ত পৃথিবীর এতোটা মিল দেখে যে কেউ চমকে যাবেন। তাও সাম্প্রতিক কালের সিনেমা নয়, প্রায় ৯ বছর আগে স্টিভেন সদেরবার্গ নির্মাণ করেছিলেন ‘কন্টাজিয়ন’ নামের সিনেমাটি। যে সিনেমার দৃশ্যগুলোর সঙ্গে হুবহু মিলে যায় এই সময়ের পৃথিবীর চিত্র।

২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ম্যাট ড্যামন, জুড ল, গিনিথ প্যালট্র, কেট উইন্সলেট, ম্যারিয়ন কটিলার্ড ও লরেন্স ফিশবার্ন। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন স্কট জেড বার্নস। এতো বছর আগে এমন ঘটনার ইঙ্গিত কীভাবে পেয়েছিলেন চিত্রনাট্যকার। সেটা এক রহস্যই বটে।

তাই এই সময়ের আলোচনায় উঠে এসেছে স্কট জেড বার্নস এর নাম। ২০১১ সালের ‘কন্টাজিয়ন’ ছবিটি নতুন করে সাড়া ফেলেছে আবারও। আগে যারা দেখেননি তারা সেই ছবি দেখছেন নতুন করে। আর অবাক হচ্ছেন গল্পে ভেতরে প্রবেশ করে।

‘কন্টাজিয়ন’ সিনেমার গল্পে দেখানো হয়- সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে এক মরণভাইরাস। যে ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্লেনে এক ব্যক্তি মারা যান। এরপর প্লেনের সব মানুষকে নামিয়ে আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। এরমধ্যে একজন লোক কায়দা করে পালিয়ে যায়। আর তার থেকেই দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

সেই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের লক্ষণের মধ্যেও দেখা যায় মানুষের কাশি হচ্ছে, মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ভাইরাসটি যার শরীরে প্রবেশ করছে সে কিছুদিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে।

সেই ছবিতেও দেখানো হয় পৃথিবীর চিকিৎসক ও গবেষকদের কাছে এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। মহামারী দেখা দেয় ভাইরাসের প্রকোপে। সেই সময় হিট হয়েছিলো ছবিটি। হলিউডে এমন ছবি আরও হয়েছে, তবে এই ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল দেখে একটু বেশিই অবাক হয়েছেন মানুষ।

কেউ বলছেন কাকতালীয় ভাবেই মিলে গেছে গল্পটা। আবার কেউ বলছেন তাই বলে এতোটা মিল কীভাবে সম্ভব! রহস্য থেকে যায় রহস্য হয়ে। গত ২৮ মার্চ কন্টাজিয়ন ছবিটি একটা ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। দুই দিনে প্রায় ২০ লক্ষবারের মতো দেখা হয়েছে সিনেমাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!