Header Image

ফুলবাড়িয়া হাসপাতালটি বিভিন্ন দিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা এগিয়ে

 

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা নিয়ে গঠিত। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮৪ জনের একমাত্র ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল।

জানাযায়,ভর্তিকৃত রোগীদের ঔষধ ও মশারি থেকে শুরু করে কোন কিছু সংকট নেই বিষয়টি ৫হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।অত্র হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মকর্তার কোন সংকট নেই।

কোভিড ১৯ টিকা কার্যক্রম গত ফ্রেব্রয়ারীও মার্চ মাসে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১২/১৮ বছর বয়সীদের টিকা চলাকালে জনসমাগম বেশি হয়।হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত ছিল। টিকার কার্যক্রম রোগী কম থাকায় হাসপাতালে বিভিন্ন কাজের সফলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও জানাযায়,ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কথা উঠলেই অনেকের মনে নেতিবাচক একটা ধারণা আসে। নোংরা-আবর্জনার ছড়াছড়ি, নাক চেপে চলাফেরা, দালাল-হকারের দৌরাত্ম্য ইত্যাদি যেন সরকারি হাসপাতালের অংশ। এমন পরিবেশের বাইরে ছিলো না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালও।
ময়লা-আবর্জনা, দালালের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে রোগীর ভোগান্তিই ছিলো বেশি। তবে সরকারি হাসপাতালের এমন চিরচেনা জঞ্জালময় পরিবেশ থেকে নিজেদের বের হয়ে এসেছে উপজেলার হাসপাতাল।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ৯০ ভাগ সফলতা অর্জন করেছে হাসপাতালটি। রোববার (১০এপ্রিল ) হাসপাতালটি ঘুরে তার প্রমাণও পাওয়া গেলো।

এমন ‘পরিচ্ছন্ন পরিবেশ’ সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দেবে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষে।

ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালটির সুসজ্জিত অন্দরমহল। রোগী ও স্বজনদের ব্যবহৃত প্রতিটি টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

ওয়ার্ডে গুলোতে পরিপাটি। কোথাও সামান্য টিস্যু পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। প্রয়োজন অনুসারে জায়গায় জায়গায় পর্যাপ্ত ময়লা-আর্বজনা ফেলানোর ঝুড়ি-বালতি রাখা। নাকে লাগে না সামান্য দুর্গন্ধও। ব্যবহৃত সুই-সিরিঞ্জ, ঔষুধ ও স্যালাইনের খোসাও রাখা নির্দিষ্ট স্থানে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে তেলাপোকা, মশা-মাছি, ছারপোকার উপদ্রবের যে নিত্য অভিযোগ সে তুলনায় ফুলবাড়িয়া হাসপাতালের পরিবেশ একবারেই ভিন্ন।
হাসপাতালটির এই অভূতপূর্বভাবে বদলে যাওয়ার পেছনে যিনি, তিনি হলেন ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ওপ: পঃ কর্মকর্তা ডা: বিধান চন্দ্র দেবনাথ। তারপর থেকে হাসপাতালটির সেবার মান ও পরিবেশ উন্নয়নে প্রাণবন্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের ওপর দেশের মানুষের যে অনাস্থা, তা পরিবর্তনই মূল লক্ষ্য। মানুষের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে হাসপাতালে’ পরিণত করার পরিকল্পনায় কাজ করছেন তিনি।

সমাজ সেবক মিজা মুন্জুরুল হক বলেন,এই অর্জন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা হাসপাতালকে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে নেবে। চিকিৎসক সমাজ খুবই খুশি। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ফুলবাড়িয়া হাসপাতালে নার্সিং কর্মকর্তা (ইনচার্জ) বেদেনা আক্তার বলেন, আমরা‌ নার্সিং সেবা দিতে কোন কৃপণতা করি না। রোগীর যে কোন সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হারুন আল মাকসুদ বলেন, আমরা হাসপাতলে রোগীর চিকিৎসার কোন কৃপণতা করি না। প্রতিদিন বহিঃ বিভাগে সকাল থেকে দুপুর পযন্ত শত-শত রোগীর দেখে আসছি। আমরা কোন রোগীর কোন রকম খারাপ আচরণ করি না।রোগীদের যে কোন সমস্যা সমাধান করে আসছি।এছাড়াও হাসপাতালে অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সরা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে।বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে কেউ ধোঁকাবাজির দিতে পারবে না। সরকার আমাদেরকে দিতেছে আমরা কেন দিতে পারবো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা: বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল প্রায় চার থেকে পাঁচশত রোগী আউটডোরে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার দেওয়া হয়। যদি কোন রোগীর ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয় তাহলে গরীব হতদরিদ্র রোগীকে আমরা সমাজ সেবা অফিসে মাধ্যমে বিনামূল্যেঔষধ দিয়ে থাকি।
অল্প খরচে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে দিয়ে থাকি।
হাসপাতালে এই অর্জন ধরে রাখার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!